সর্বশেষ

দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে নিজের জীবন দিয়ে দেব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ :


 

২৪খবর বিডি: 'দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন তথা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।'
'শনিবার সকালে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ফলক উন্মোচনের নানা আনুষ্ঠানিকতার পর যান মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে। সেখানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।'

তার আগে তিনি জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর আরেকটি ফলক উন্মোচন করেন।

-জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবা, মা ভাই সব হারিয়ে পেয়েছি আপনাদের। আপনাদের মাঝেই ফিরে পেয়েছি আমার বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ। আপনাদের পাশেই আমি আছি। আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, আমি যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত এই ওয়াদা আমি দিয়ে গেলাম। আমি আপনাদের জন্য প্রয়োজনে নিজের জীবনটাও দেব।’

'সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি, দেবার কিছু নাই। আছে শুধু ভালোবাসা, দিয়ে গেলাম তাই।'

'দেশের মানুষের জন্য উন্নত জীবনের বন্দোবস্ত করবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, এই দেশকে আমরা গড়ে তুলব। উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। আজকে বাংলাদেশ যেমন খাদ্য, বাসস্থান, বিদ্যুৎ সবক্ষেত্রে....লেমেয়েরা পায় তার ব্যবস্থা আমি করব, আজকে আপ নাদের কাছে এটাই আমার ওয়াদা।'

-জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবা, মা ভাই সব হারিয়ে পেয়েছি আপনাদের। আপনাদের মাঝেই ফিরে পেয়েছি আমার বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ। আপনাদের পাশেই আমি আছি। আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, আমি যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত এই ওয়াদা আমি দিয়ে গেলাম। আমি আপনাদের জন্য প্রয়োজনে নিজের জীবনটাও দেব।'

'সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি, দেবার কিছু নাই। আছে শুধু ভালোবাসা, দিয়ে গেলাম তাই।'

-সরকারপ্রধান বলেন, আজকে আলহামদুলিল্লাহ আমরা সেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। আর আপনাদের কষ্ট করতে হবে না। এই খরস্রোতা পদ্মা নদী পার হতে গিয়ে আর কাউকে সন্তান হারাতে হবে না, বাবা-মাকে, ভাইবোনকে হারাতে হবে না। আজকে সেখানে আপনারা নির্বিঘ্নে চলতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি।

দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে নিজের জীবন দিয়ে দেব: প্রধানমন্ত্রী

'আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছে –উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শরীয়তপুরের, মাদারীপুরে আসতে হত লঞ্চে। ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যেতে ২২ ঘণ্টা লাগত। প্রতিটি এলাকা এত দুর্গম ছিল। আজকে আমরা রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ করতে পেরেছি বলে মানুষের যোগাযোগ সহজ হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ অঞ্চলে। সীতারপুর, দোহারিকা, গাবখান একেবারে পায়রা পর্যন্ত সেতু বানিয়ে দিয়েছি যাতে করে নির্বিঘ্নে ও নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে।'

'পদ্মা সেতু নির্মাণের পর দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে সমাবেশে জানান প্রধানমন্ত্রী।'

-তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের পর ২১ জেলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। এখানে কলকারখানা হবে, কর্মসংস্থান হবে। আমাদের ফসল প্রক্রিয়াজাত করতে পারব, দেশে বিদেশে রপ্তানি করতে পারব। আমরা মাছ ও প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করতে পারব। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ঘুচে যাবে। এ অঞ্চলের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।’

'করোনা মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে খাদ্য সঙ্কটের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এখানে যেন এক ইঞ্চি জমিও খালি পড়ে না থাকে। যে পারেন উৎপাদন করবেন। নিজে খাবেন, অন্যকে দেবেন, বাজারে পাঠাবেন।'

'পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। যেকোনো দুরে্যাগ মোকাবিলার শক্তি বাংলাদেশের জনগণের আছে।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত